আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায় ---- এ কেমন সর্বনাশ!
যার জন্য আমার এই বসে থাকা ;
এ যে আমার নীরব প্রেম , এ আমার গোপন ভালবাসা |
তাই তো এই সর্বনাশকে জানাই আমন্ত্রণ
তুমি এসো প্রিয় , অন্ধকারে নয়, আলোয় এসে দেখা দাও
যে গভীর গোপন ভালবাসা তোমার অন্তরে লুকিয়ে আছে ,
তাকে গোপন কোরো না |
ব্যক্ত করো , ব্যক্ত করো , পূর্ণতা দাও
তোমার মনের গোপন ভালবাসা কে অভিনন্দন জানাও
মনের অতলের ভালোবাসাকে তিল তিল করে যে সঞ্চিত করে
সেই তো প্রকৃত ধনী
যন্ত্রনায় বিদ্ধ হওয়া দুটি মন যদি ভালবাসা চায়
তবে তোয়াক্কা কোরো না কারো
কারো ভ্রুকুটিতে ভয় পেও না
ধন্য হও, ধন্য হও আর ধন্য করো
ভেসে যাও এক অনাবিল ভালবাসারই স্রোতে ||

কেন তবে এমন ভোর আসে
পেঁয়াজ খোসার মতো পাতলা আবরনে ঢেকে?
বারবার আজানের পাশাপাশি ভেসে আসে কিছু কথা
কে যেন কবিতায় লিখেছিল, প্রিয়তমা তুমি ধোঁকায় পড়ো না
 আকাশে এখনো সুর্যটা ভাসেনি  লালচে আলোয় পৃথিবী শুনশান।

ঋনী করেছিলে তোমার পায়ের শব্দে
তোমার হাসির কাছেও জমেছিল কিছু ঋন
প্রিয়তমা অবশেষে তুমিও ধোঁকায় পড়েছ বিপন্ন যৌবনবোধে
বিষ্ময় শুধু ভোরেই স্পষ্ট হয়নি, টেনে নিয়ে গেছে আসন্ন গোধুলী তক
বুকের ভাঁজে জমানো ঘাম যাকে মধু বলা যায় তুমি অন্যকে দিয়েছ অবশেষে।

অনেক রাত্রি যাপনের পর বুঝেছি
আসলে শৈশবেই কাঁচা কুল চুরি করা যায়
বড় হওয়ার জ্বালা এই যে তোমাকে পরবাস দিলাম ঠিক
তুমি ধোঁকায় পড়ে আমাকে ধোঁকা দিতে চাইলে এটাই মর্মান্তিক
 শেষ দৃশ্যে নিজেকে সেই শৈশবে ফিরে পেলাম  আমাকেই ঋনী করে গেলে শেষে!

আমার বিষাদের মিছিলে
এনোনা সন্দেহের তারাবাতি |
এনোনা “আহারে” বাছাদের |
দিও তোমাদের অনুমতি
সহ নীরব হাততালি |

পারিনি হতে “আদর্শ ছেলে”...
তাতে দিও সম্মতি |
“স্বার্থপরতার রসে টই টুম্বুর
স্বামী”...সে ব্যাক্ষানে দিও
মাথা নাড়ানো সমর্থন |
“অবহেলার রাজা” সন্তান পালনে
এ মুর্ছায় দিও তোমাদের যৌথ ছাপ |

পিছনে তাকানোর বিলাসিতায়
আজ মন আমার জ্বরা জীর্ণ |
লোল চামড়ার খাঁজে যত দুঃক্ষ
তারা “আমায় দেখো” বলে আজ
বেরিয়েছে প্রতিশোধের আশায় |

নীলে নীলাকার আজ আকাশ আমার
বিষাদের নীলে | নীল কন্ঠ আমি
নিজের দোষে | কোনো অজুহাত
বা তীক্ষ্ণ করে তৈরী দোহাইকে
আজ আর সাঁটাবোনা আমার
জাব্দা খাতায় |

“ভোগী”, “অহংকারী” ইত্যাদি দোষকে
আজ এনো বরণ করে “কলঙ্ক”
ফুলের ডালায় | দর্শক “সুধী”
তোমাদের সাহায্যে এ মিছিল চলুক
হাট পেরিয়ে মহুয়া দীঘির পাড়ে |

নামিয়ো ব্যাথার পাল্কী পুরনো অশত্থের
কাছে| নীল শালে আবৃত আমার
শরীরে জ্বেলো নীল আগুন
যাক হয়ে ভস্ম ব্যর্থতার জ্বালা |

আশাবাদী আমি সূর্যোদয়ের সময়
সোনালী আলো মুখে কতো মোলায়েম
লাগে তা জানাবো
নীল সাগরে চান করার পর||

শূণ্য পেয়ালা পূর্ণ কর সাকি;
আকন্ঠ পিপাসার কারাগার ভেঙে
বিছিয়ে দাও সেথা অঞ্চলস্থিত মদিরাম্বু।
মেঘেমেঘে ঢেকে যাক বেনিয়া রোদ্দুর
কোনে কোনে বিম্বিত আভা
চূর্ণ-বিচূর্ণ করুক আত্নার সজীবতা।

চৈতি মেঘের বালিয়াড়ি উড়াও
দুঃসহ যাতনার অভ্রচূর্ণ নত হোক ভূমে
পাতার বাঁশি না ই বাজালো শিশু –
মেলা ভাঙলো শিখন্ডী ধুলোর জালে
প্রাণ নিয়ে কাড়াকড়ি, সব সাধ ভুলে
সবাই ছুটে নিরাপত্তার আড়াল খুঁজে।

যখন সময় হবে সূর্যও সূলভ হবে
থামবে ঝড় - চেতনা ও ভূমে
 ধূলো মুছে সবাই ভাবতে বসবে
কেন এমন হলো, পাতার বাঁশি
শিশুর ঠোঁট থেকে কেড়ে না নিলে
কী এমন ক্ষতি হতো কার?

শান্তনার বাতাস আশ্বাসের ফূঁ দেয়;
সময় তা শুধরে নেবে
 কেবল মা ই জানে - তা কখনো নয়

অতঃপর
পূর্বাপর বিক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসা
ঠাঁই পাবে তে-মাথার
চা-দোকানের সরব আড্ডায়
 কিন্তু বাঁশি বাজানো পেলব ঠোঁট দুটি
কাঁপবে না আর।

আর বছরে আবারো তো উঠবে ভরে মেলা প্রাঙ্গন
ধূলায় মোড়া সরব কোলাহলে
পতার বাঁশি ঝুনঝুনি গয়না পুতুল মিঠাই ফেরী
স-ব ঠিক আগেকারই মতোন
থাকবে সবাই রত জীবনের সরস কাব্য রচনায়
 শুধু ঠোঁট দু'খানা খেলবেনা তো আর

আকাশজুড়ে মেঘের সভা, সূর্য মেঘে ঢাকা
চিন্তা ছিল, ভাবনা ছিল, মনটা বেঁধে রাখা।
রসায়নে মন বসে না,
বইয়ের পাতায় চোখ,
জানলা খোলা, ভেজা হাওয়া
জানায় অভিযোগ।
এলোমেলো মাতাল হাওয়ায় উড়ুউড়ু চুল,
সমীকরণ লিখতে গিয়ে সাজাই শুধু ভুল।
চোখ চলে যায় মাঠ পেরিয়ে মেঘবালিকার সাথে,
বই খাতা সব রইল পড়ে, বৃষ্টি আমায় ডাকে।
বড় বড় ফোঁটায় নামে কালো মেঘের ঢল
ভিজছি আমি, ভিজছে শহর, ছায়াবীথির দল।
দমকা হাওয়ায় আঁচল ওড়ে, ওড়ে আমার মন
কদম, বেলি, বকুল, হেনা মন করে উন্মন।
ক্লান্তি ছিল, ভ্রান্তি ছিল—জলে গেল ধুয়ে
মন্দমধুর বৃষ্টিমালা হূদয় গেল ছুঁয়ে।
হিমেল হাওয়া বইছে ভীষণ, শীতল করে প্রাণ
বৃষ্টিধারা সৃষ্টি করে মিষ্টিমধুর তান,
চুমুক চুমুক কফির কাপে, মধুর এ আবেশ
ভাবি জীবন মন্দ তো নয়। এই তো আছি বেশ।

আয়!-
বলে ডাক দিতেই
হায়
পিলপিল করে
উঠে আসে তারা,
আসকারা
পেয়ে
টেবিল
বেয়ে
নেমে
অক্ষরের
সে বেহায়া
মিছিল
আশ্লেষে
ছড়িয়েছে
গোটা পাড়া

সবখানে
হাসাহাসির সে কি
ধুম লেগে গেছে
তুমিই বোঝনি এসব
অপ্রতিভ ইশারা

আকাশ রাঙ্গানোর ইচ্ছা ছিল না আমার
তবুও বার বার রংধনু হয়েছি আকাশ রাঙ্গানোর ইচ্ছায় ।
পাহাড়ের সাথে আলিঙ্গন করার ইচ্ছা ছিল না আমার
তবুও বার বার ঝড়ো বাতাস হয়েছি পাহাড়ের গায়ে কাঁপন ধরাবার ইচ্ছায় ।
সমুদ্রের মাঝে বিলীন হয়ে যাবার ইচ্ছে ছিল না আমার
তবুও বার বার নদী হয়েছি বিলীন হবার ইচ্ছায় ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
এই সবই করেছি অহেতুক এক স্বার্থপর ইচ্ছায়
কারন তোমাকে জড়িয়ে ধরে ভুলতে চেয়েছি
নিঃশব্দ ক্ষণজন্মা আমার জীবনের বধির সময়গুলিকে…।।

আমি এক অন্ধপ্রেমিক,
সারারাত সারাদিন, গেয়ে যাই প্রেমিকার গান
সূর্য-চাঁদ, পাহাড়-নদী,
তরুলতা প্রজাপতি
আলেয়া বা অমানিশা
কখনো আবার বিদিশার দিশা
আরো কত কত-শত উপমার সম্ভার
খুঁজে বেড়াই, তাতেই হারাই,
তাতেই আমার বসবাস।
প্রেমিকা মোর হাসে মিটিমিটি,
তাতেই আমি খাই লুটোপুটি।
আর ওদিকে দুর্বৃত্তের
পড়ে কামাতুর দৃষ্টি,
ছক কষে ধরতে ভাঙ্গতে,
এই আমারি টুটি।
আমি বেওকুফ, ভাবি শুধু মনে মনে
কি আসে যায় তাদের এই মহারণে?
লড়ো দেখি ভাই অস্ত্রে নয় প্রেমে,
বিশ্বাস করি আমায় ওযে চেনে।
কখনো পাবে না মন তার, যদিও দেহ
এই আনন্দে নাচে মন, দেখেনা কেহ।
আমি অন্ধ প্রেমিক, দেখিনা প্রেমিকার মুখ,
তার উৎকণ্ঠাতেও বুক ভরা মোর সুখ।
হায়েনার দল আসে, অট্টহাসি হাসে
আমি নিশ্চিন্ত মনে গান বাঁধি সুভাষে।
গান শুনে তারা বলে উঠে মারহাবা,
বুকে আশা জাগে, প্রেমবানীতেই সহসা,
মানবে হার, জিতবে প্রেম, জিতবে মানবতা
ওদিক আমার প্রেমিকার চলে অচেনা নীরবতা।
বস্ত্রহরণ, সম্ভ্রমহানি, নেকড়ে দলের টানাটানি,
আমি অন্ধপ্রেমিক, দেখি না কিছুই
দিয়ে যাই শুধু প্রেমবাণী।

ক–এ কলা খ–এ খাই
এতো বেশী খেতে নাই।
গ–এ গরু ঘ–এ ঘাস
কত ঘাস খেতে চাস।
‘ঙ’ বলে, “কোলা ব্যাঙ,
 সারাদিন ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ!
ক – খ – গ – ঘ – ঙ॥


চ–এ চাচা ছ–এ ছাই
দাঁত মাজো। ছাই চাই?
জ–এ জাম ঝ–এ ঝড়
ঝড় এলো জাম পড়।
‘ঞ’–বলে, “মিঞা ভাই,
 বিয়ে খাব। চল যাই।
চ – ছ – জ – ঝ – ঞ॥


ট–এ টাকা ঠ–এ ঠাট
ঠাট মেপে গড় হাট।
ড–এ ডাব ঢ–এ ঢল
ঢল এলো বাড়ি চল।
‘ণ’–বলে “আনো শণ।
ঘর তুলি কেটে বন।”
ট – ঠ – ড – ঢ – ণ ॥


ত–এ তাল থ–এ থাল
থালে রেখে খা‌বো তাল।
দ–এ দাতা ধ–এ ধার
ধার দিয়ে টাকা হার।
‘ন’ বলে, “নানা ভাই,
 না’বো। চল বাড়ি যাই।
ত – থ – দ – ধ – ন॥


প–এ পাতা ফ–এ ফল
ফল ভরা গাছে বল।
ব–এ বালা ভ–এ ভার
ভারী বালা হাতে কার?
‘ম’ বলে, “গা রে, মা;
‘আয় আয় চাঁদ মামা’।”
প – ফ – ব – ভ – ম ॥


এই কটি অক্ষরে
শেষ হলো ছড়া বলা।
ছড়ায় ছড়ায় হলো
মা’মণির ক-খ শেখা।


বাবা বসে গুণে দিন
আদরিনী কবে তার
গা’বে গান কোলে চড়ে।
“চাদের কপালে চাদ
 টিপ দিয়ে যা॥

About this blog

hit counter

Sample text

ফেসবুকে আমাকে ফলো করুন

ভিজিটর কাউন্ট

Resources

মোট পোস্ট হল

জনপ্রিয় পোস্ট গুলি

আজকের তারিখ হচ্ছে

Powered by Blogger.

Ads 468x60px

Social Icons

সমস্ত পোস্ট গুলি এখানে

Featured Posts