শম্ভুনাথ কর্মকার


একান্ত অলকানন্দা

চৈত্রের ক্ষেতে ফিরে আসে নরম নিঃশ্বাস
ছেঁড়াখোঁড়া শরীর আজ রাতের বিছানায় অলকানন্দা।

যা হবার দূরের অশ্বত্থ গাছের ছায়ায়,
অন্ধকার হয় কেঁপে কেঁপে ওঠে বাড়তি সংসার।

একটাই পৃথিবী হাত নেড়ে বলে
তোমার সংসারের ছিপ ফেলে একটি পুরুষ।

আগুন লেগেছে পাহাড়ের বাঁকে
পাথর ছড়িয়ে ভুলে যেও একলা ঘরে।

ভুলে যাই আমার আকাশ কেমন আছো
আগুনে পোড়ো নি তো আমার অলকানন্দা।

স্পর্শ নিও
কেউ কেউ ঘরকুনো, রাতের ছায়ায় সজাগ থাকে
ভীষণ ভাবে শুনতাম –
যেমন বলেছিল সবাই, স্মৃতি থেকে
হাতের মুঠোয় পুনঃসংযোগ, জলের প্রপাত
শুধু অরণ্যভূমির।
জীবনটা বিছিয়ে দেখেছো?
দুই হাতে চেয়েছো আগুনের সোহাগ।
জমা শ্যাওলায় বসেছে যে পাখি
দিনে দিনে বেড়ে ওঠে সে
তোমার নামের পাশে – নির্দেশ বসাতে বসাতে
পরশের সংকেত নিও।

সৈকত গোস্বামী


অনভ্যাসের ভোর পাঁচটায় সেট করা
মোবাইল আ্যলার্মের সুরেলা ডাকে
পাতলা ঘুমের রাতটা শেষ হল।
শেষ মূহুর্তের রিভিশন, আরও কিছু
টু-মার্ক্সের শর্ট কোয়েশ্চন গলাধঃকরণ।
কোনোটাই ছাড়া চলবে না
হয়তো ওটাই আসবে।
পাস কোর্সকে দিয়ে আসা
সারা বছরের অবহেলা-সমূহের
সম্মিলিত চোখরাঙানি
ভুলিয়ে দেয় সময়ের টিক্ টিক্ পদক্ষেপ।
কুড়ি মিনিট পিছিয়ে যায় স্নানের সময়,
‘খিদে বেশি নেই’-এর অজুহাত
থালা থেকে কমিয়ে দেয় দু’টো রুটি,
মিস্ হয়ে যায় ন’টা পনেরোর এইট-বি।
* * * * *
কালো বোর্ডের বুক চিরে দিয়েছে সাদা চক
রুম নম্বরঃ- ২২১
আবার সেই আগের দিনের রুমটাই, মানেই
আবার সেই ফার্স্ট বেঞ্চে।
কোয়েশ্চনপেপার এলো হাতে।
লটারির রেজাল্ট দেখার মত
হামলে পড়লাম।
কয়েকপাতা উল্টেই
হাত মুঠো করে কনুই ঝাঁকাই নীচে,
‘পুরো স্যারের সাজেশানটা!’
এর পরের তিনটে ঘন্টা
প্রায় সাত আট মিনিট ফাস্ট চলতে থাকা
রিস্টওয়াচের কাঁটায় ভর দিয়ে
সময় নিঃশব্দে যুদ্ধ চালিয়ে গেল
স্মৃতিশক্তির সাথে।
* * * * *
ওয়ার্নিং বেলের পাঁচ মিনিট পরের শব্দটা
যদিও বহু বছরের পরিচিত,
তবু আজ তা যেন বাজল
অন্য কোনো এক সুরে।
আজ ছিল ফিজিক্স সেকেন্ড পেপার, আজকে বাজল –
পরীক্ষা শেষের ঘন্টা।

About this blog

hit counter

Sample text

ফেসবুকে আমাকে ফলো করুন

ভিজিটর কাউন্ট

Resources

মোট পোস্ট হল

জনপ্রিয় পোস্ট গুলি

আজকের তারিখ হচ্ছে

Powered by Blogger.

Ads 468x60px

Social Icons

সমস্ত পোস্ট গুলি এখানে

Featured Posts