একজন বৈরাগী গোপালকে চিনত না। সে গোপালের সামনে এসে বলল, “ঈশ্বরের সেবার জন্য আপনি কিছু চাঁদা দেবেন?”
গোপাল কিছু না বলে বৈরাগীকে একটা টাকা দিল।
টাকাটা পেয়ে বৈরাগী খুশি হয়ে পথ হাঁটতে লাগল। কিছুটা যেতেই গোপাল তাকে ডাকল, “ও বৈরাগী, একবারটি আমার কাছে এসো।”
বৈরাগী খুশিমনে তার কাছে আসলে গোপাল বলল, “তোমার বয়স কত?”
“আঠারো আজ্ঞে।”
“আমার বয়স পঞ্চান্ন।”
“তাতে কি হল?”
“এইমাত্র ঈশ্বরের সেবার জন্য যে একটা টাকা নিয়েছ সেটা ফেরত দাও, কারণ তোমার আগেই আমি স্বর্গে যাব এবং ঈশ্বরের সেবার সুবর্ণ সুযোগ পাব।”
-------------------------------------------------------------------------------------

রাজা বললেন, শীতের রাতে কেউ কি সারা রাত এই পুকুরে গলাপানিতে ডুবে থাকতে পারবে? যদি কেউ পারে, আমি তাকে অনেক টাকাপয়সা, ধনরত্ন পুরস্কার দেব।
এক ছিল গরিব দুঃখী মানুষ। সে বলল, আমি পারব।
সে মাঘ মাসের তীব্র শীতে সারা রাত পুকুরের পানিতে গলা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। ভোরের বেলা সে উঠল পানি থেকে।
রাজার কাছে গিয়ে সে বলল, আমি সারা রাত পুকুরের পানিতে ছিলাম। আপনার সান্ত্রী-সেপাই সাক্ষী। এবার আমার পুরস্কার দিন।
রাজা বললেন, সেকি, তুমি কেমন করে এটা পারলে!
গরিব লোকটা বলল, আমি পানিতে সারা রাত দাঁড়িয়ে রইলাম। দূরে, অনেক দূরে এক গৃহস্থবাড়িতে আলো জ্বলছে। আমি সেই দিকে তাকিয়ে রইলাম। সারা রাত কেটে গেল।
মন্ত্রী বলল, পাওয়া গেছে। এই যে দূরের প্রদীপের আলোর দিকে ও তাকিয়ে ছিল, ওই প্রদীপ থেকে তাপ এসে তার গায়ে লেগেছে। তাই তার পক্ষে সম্ভব হয়েছে এই শীতেও ওই পুকুরে গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে রেখে দাঁড়িয়ে থাকা।
রাজা বললেন, তাই তো! তাহলে তো তুমি আর পুরস্কার পাও না। যাও। বিদায় হও।
গরিব লোকটা কাঁদতে কাঁদতে বিদায় নিল। সে গেল গোপাল ভাঁড়ের কাছে। অনুযোগ জানাল তাঁর কাছে। সব শুনলেন গোপাল ভাঁড়।
তারপর গোপাল ভাঁড় বললেন, ঠিক আছে, তুমি ন্যায়বিচার পাবে।
গোপাল ভাঁড় দাওয়াত করলেন রাজাকে। দুপুরে খাওয়াবেন। রাজা এলেন গোপাল ভাঁড়ের বাড়ি। গোপাল ভাঁড় বললেন, আসুন আসুন। আর সামান্যই আছে রান্নার বাকি। কী রাঁধছি দেখবেন, চলেন।
গোপাল ভাঁড় রাজাকে নিয়ে গেলেন বাড়ির পেছনে। সেখানে একটা তালগাছের ওপর একটা হাঁড়ি বাঁধা আর নিচে একটা কুপিবাতি জ্বালানো।
গোপাল ভাঁড় বললেন, ওই যে হাঁড়ি, ওটাতে পানি, চাল, ডাল, নুন সব দেওয়া আছে। এই তো খিচুড়ি হয়ে এল বলে। শিগগিরই আপনাদের গরম গরম খিচুড়ি খাওয়াচ্ছি।
রাজা বললেন, তোমার বাড়িতে দাওয়াত খাব বলে সকাল থেকে তেমন কিছু খাইনি। খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। এখন এই রসিকতা ভালো লাগে!
রসিকতা কেন, রান্না হয়ে এল বলে।
রাজা বললেন, তোমার ওই খিচুড়ি জীবনেও হবে না, আমার আর খাওয়াও হবে না। চলো মন্ত্রী, ফিরে যাই।
গোপাল বললেন, মহারাজ, কেন খিচুড়ি হবে না। দূরে গৃহস্থবাড়িতে জ্বালানো প্রদীপের আলো যদি পুকুরের পানিতে ডুবে থাকা গরিব প্রজার গায়ে তাপ দিতে পারে, এই প্রদীপ তো হাঁড়ির অনেক কাছে। নিশ্চয়ই খিচুড়ি হবে।
রাজা তার ভুল বুঝতে পারলেন। বললেন, আচ্ছা পাঠিয়ে দিয়ো তোমার ওই গরিব প্রজাকে। ওর প্রতি আসলেই অন্যায় করা হয়েছে। ওকে ডাবল পুরস্কার দেব।
সে তো আপনি দেবেনই। আমি জানতাম। আসুন, ঘরে আসুন। দুপুরের খাওয়া প্রস্তুত।
তারপর রাজা সত্যি সত্যি গরিব লোকটাকে অনেক পুরস্কার দিয়েছিলেন।

আজকের দিনে গোপাল ভাঁড় শারীরিকভাবে নেই। কিন্তু তার রসিকতাগুলো রয়েই গেছে।
আগুন লাগানো বিষয়ে সম্প্রতি তেমনই একটা রসিকতা করা হয়েছে। এই রসিকতা শুনে দেশের মানুষ এমন অট্টহাসি দিয়েছে যে সবার মন ভালো হয়ে গেছে।
সংবাদপত্রে কোনো খবর প্রকাশিত হলে যে-কেউই রুষ্ট হতে পারেন। সব খবর সবার পক্ষে যাবে না। যে-কেউ যেকোনো খবরকে প্র্রতিবাদযোগ্য বলেও মনে করতে পারেন। খবর সত্য, নাকি মিথ্যা, এ সম্পর্কে মুখ না খুলে খবরের কাগজের সম্পাদক বা মালিকদের বিরুদ্ধে উল্টো অন্য অপ্রাসঙ্গিক অভিযোগ তোলা যে খুবই অভিনব একটা ঘটনা, সেটা সবাই স্বীকার করবেন। কিন্তু অভিযোগটা কী হবে, সেটা নিশ্চয়ই একটু ভেবে ঠিক করা দরকার ছিল।
এখন দেশের মানুষ বলাবলি করছে, ওই আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বলেছিল, যাদের অফিস, তারাই তদন্তকাজে সহযোগিতা করেনি বলে ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করা যায়নি। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে সাপ না বেরিয়ে যায়! অন্যের জন্য কুয়ো খুঁড়ে না সেই কুয়োতে উল্টো পড়ে যেতে হয়।
ওই ঘটনায় মানুষের মৃত্যুও হয়েছিল। যার বাড়ি, তার সহযোগিতার অভাবে তদন্ত করা যায়নি বলে দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের জীবন তো ফিরিয়ে দিতে পারবে না কেউ। এখন দেশের মানুষ চায়, নিরপেক্ষ কিন্তু দক্ষ আইনানুগ কর্তৃপক্ষ ওই আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে। উদ্ঘাটন করুক আসলে কারা ঘটিয়েছিল ওই অগ্নিকাণ্ড। কেন ঘটিয়েছিল।
গোপাল ভাঁড়ের কাণ্ডকারখানার উদ্দেশ্য থাকত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। তার মাধ্যমে লোকে হাস্যরসও পেত, কিন্তু সেটা বাহ্য। এই আলোচিত অগ্নিসংযোগের অভিযোগ যথেষ্ট হাস্যরস সৃষ্টি করেছে, এবার দরকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।
-----------------------------------------------------------------------------------------

গোপাল একবার গ্রামের মোড়ল হয়েছিল। তো একদিন ভোরবেলায় এক লোক এসে ডাকতে লাগল, ‘গোপাল? গোপাল?’ গোপাল ভাঁড় কোনো উত্তর না দিয়ে শুয়েই রইল। এবার লোকটা চিৎকার করে ডাকতে লাগল, ‘মোড়ল সাহেব, মোড়ল সাহেব।’ এবারও গোপাল কোনো কথা না বলে মটকা মেরে শুয়ে রইল। গোপালের বউ ছুটে এসে বলল, ‘কী ব্যাপার, লোকটা মোড়ল সাহেব মোড়ল সাহেব বলে চেঁচিয়ে পড়া মাত করছে, তুমি কিছুই বলছ না!’ গোপাল কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, ‘আহা, ডাকুক না কিছুক্ষণ, পাড়ার লোকজন জানুক আমি মোড়ল হয়েছি।’

-----------------------------------------------------------------------------------------

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সব সভাসদদের সামনে গোপালকে জব্দ করার উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘বুঝলে গোপাল, আমার সাথে তোমার চেহারার কিন্তু দারুণ মিল! তা বাবার শাসনামলে তোমার মা কি এদিকে আসতেন-টাসতেন নাকি?’

গদগদ হয়ে গোপাল বলে, ‘আজ্ঞে না রাজামশাই! তবে মা না এলেও বাবা কিন্তু প্রায়শই আসতেন!’

-----------------------------------------------------------------------------------------

গোপাল একবার তার দুই বেয়াই-এর সাথে এক জায়গায় যাচ্ছিল। পথের ধারে দক্ষিণমুখো হয়ে সে প্রস্রাব করতে বসলে এক বেয়াই বলল, “আরে করেন কি, আপনি জানেন না, দিনের বেলা দক্ষিণমুখো হয়ে প্রস্রাব করতে নেই, শাস্ত্রে নিষেধ আছে যে!”
অপর বেয়াই বলল, “শুনেছি উত্তরমুখো হয়েও নাকি ওই কাজটি করতে নেই।”

গোপাল বলল, “ওসব পন্ডিতলোকদের বচন, আমি গাঁইয়া মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, ওসব বাছবিছার আমি করি না, সব মুখেই প্রস্রাব করি। বড় বেয়াই যে মুখে বললেন সে মুখে করি আর ছোট বেয়াই যে মুখে বললেন সে মুখেও করি।”
গোপালের মুখের কথা শুনে বেয়াইদের মুখে আর কথা নেই।

-----------------------------------------------------------------------------------------

বেড়াতে বেরিয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র একবার গোপালের হাত চেপে ধরে আস্তে আস্তে মোচড়াতে লাগলেন।
গোপাল: আমার হাত নির্দোষ, ওকে রেহাই দিন।
রাজা: জোর করে ছাড়িয়ে নাও।
গোপাল: সেটা বেয়াদবি হবে।
রাজা: উহু, তাহলে হাত ছাড়ব না।
গোপাল তখন যে রোগের যে দাওয়াই বলে রাম নাম জপতে থাকলেন।
রাজা: এতে কি আর কাজ হবে? দাওয়াই কোথায়?
গোপাল: রাম নাম জপাই তো মোক্ষম দাওয়াই।
রাজা: মানে?
গোপাল: পিতামহ, প্রপিতামহের আমল থেকে শুনে আসছি, রাম নাম জপলে ভূত ছাড়ে।
রাজা গোপালের হাত ছেড়ে দিলেন সঙ্গে সঙ্গে।

----------------------------------------------------------------------------------------

গোপাল যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। মাথার ওপর গনগনে সূর্য। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গোপাল এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে বসল। বেশি গরম লাগায় ফতুয়াটা খুলে পাশে রেখে একটু আয়েশ করে বসল। বসে বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল, নিজেই জানে না।

ঘুম যখন ভাঙল গোপাল দেখে, তার ফতুয়াটা চুরি হয়ে গেছে। হায় হায়! এখন কী হবে! খালি গায়ে তো আর শ্বশুরবাড়ি ওঠা যায় না। কী আর করা। সে হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বলতে লাগল, ‘হে ভগবান, রাস্তায় অন্তত ১০টি মুদ্রা যেন কুড়িয়ে পাই, তাহলে পাঁচ মুদ্রায় আমার জন্য একটা ভালো ফতুয়া কিনতে পারি। আর তোমার জন্য পাঁচটি মুদ্রা মন্দিরে দান করতে পারি···।’ আর কী আশ্চর্য! ভাবতে ভাবতেই দেখে, রাস্তার ধারে কয়েকটি মুদ্রা পড়ে আছে। খুশি হয়ে উঠল গোপাল, গুনে দেখে পাঁচটি মুদ্রা! গোপাল স্বগত বলে উঠল, ‘হে ভগবান, আমাকে তোমার বিশ্বাস হলো না, নিজের ভাগটা আগেই রেখে দিলে?

---------------------------------------------------------------------------------------



















ডাক্তার বদলি
মহিলার প্রতি ডাক্তার, ঠিক আছে আপনার আগের ডাক্তার কি বলেছে ?
রোগীঃ সে আমার সব কিছু বদলির ও পরিবর্তনের জন্য বলেছে।
ডাক্তারঃ তা আপনি এখন কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
রোগীঃ আমি ডাক্তার বদলি দিয়েই সর্বপ্রথম আরম্ভ করেছি।

--------------------------------------------------------------------------------------------

ঢাকা অনেক দূর
ডাক্তার রোগীকে ব্যাবস্থাপত্র দিয়ে বললেন -
ডাক্তারঃ আপনার খাবার সব সময় ঢাকা রাখবেন।
রোগীঃ কেন? ঢাকা তো অনেক দূর! কুমিল্লায় রাখলে চলবে না ?

--------------------------------------------------------------------------------------------

হাতঘড়ি
অপারেশরেন রুগীকে কয়েকদিন পরে দেখে -
ডাক্তারঃ আরে আপনি! কি খবর? এখন কেমন আছেন? কোন সমস্যা হচ্ছে না তো?
রোগীঃ না, কোন সমস্যা হচ্ছে না। তবে হয়েছি কি এখন দম নেয়ার সময় আর ছাড়ার সময় বুকের ভেতরটায় টিকটিক শব্দ করে।
ডাক্তারঃ (বেশ আনন্দের সঙ্গে) তাইতো বলি, আমার এত দামি ব্রান্ডের হাত ঘড়িটা কই গেল?

-----------------------------------------------------------------------------------------

বদলি
মহিলার প্রতি ডাক্তার, ঠিক আছে আপনার আগের ডাক্তার কি বলেছে ?
রোগীঃ সে আমার সব কিছু বদলির ও পরিবর্তনের জন্য বলেছে।
ডাক্তারঃ তা আপনি এখন কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
রোগীঃ আমি ডাক্তার বদলি দিয়েই সর্বপ্রথম আরম্ভ করেছি।

-----------------------------------------------------------------------------------------

বেশীদিন বাচার উপায়
রোগীঃ ডাক্তার সাব! বেশীদিন বাচোনের কোন উপায় আছে কি?
ডাক্তারঃ যান বিয়া করেন গিয়া।
রোগীঃ ক্যান? বিয়া করলে কি বেশিদিন বাচন যায়?
ডাক্তারঃ তা কইবার পারুম না। তয় এতডা কইতে পারে যে আপনে বিয়ার পর আর বেশিদিন বাচনের চেষ্টা করবেন না।



কাশি প্রাকটিস
ডাক্তারঃ মনে হয় ঔষধ টায় কাজ হয়েছে। আজ আপনার কাশির আওয়াজটা বেশ ভাল ঠেকছে।
রোগীঃ ভাল তো ঠেকবেই। কাল সারা রাত জেগে কাশিটা প্রাকটিস করেছি যে!

-------------------------------------------------------------------------------------------

একটু অপেক্ষা করুন
ডাক্তার : আপনার কি হয়েছে?
রোগী : ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান! আমি মনে হয় ১০ মিনিটের মধ্যে মারা যাবো।
ডাক্তার : একটু অপেক্ষা করুন, আমি ২০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসছি।

-------------------------------------------------------------------------------------------

কুকুরে কামড়েছে
রোগীঃ ডাক্তার সাহেব, আমাকে কুকুরে কামড়েছে।
ডাক্তারঃ আপনি কি জানেন না যে আমার রোগী দেখার সময় ৪টা থেকে ৮টা।
রোগীঃ আমিতো জানি। কিন্তু ওই হতচ্ছাড়া কুকুরে তো আর ওটা জানে না।

------------------------------------------------------------------------------------------

চশমা দিয়ে পড়া
রোগীঃ ডাক্তার সাব, আপনি বলেছেন চশমা নিলে আমি পড়তে পারব।
ডাক্তারঃ নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সন্দেহ কি?
রোগীঃ তাহলে ভালোই হবে। আমিতো পড়তে জানতাম না ।

-----------------------------------------------------------------------------------------

চুলকানির সমস্যা
রোগী : ডাক্তার সাহেব আমি খুব চুলকানির সমস্যায় ভুগছি। দয়া করে আমাকে একটা ওষুধ দিন।
ডাক্তার : দোকান থেকে এই ওষুধটা কিনে নিন।
রোগী : এতে কি চুলকানি সেরে যাবে?
ডাক্তার : আমি আপনার নখ বড় করার ওষুধ দিয়েছি। যাতে আপনি ভালোভাবে চুলকাতে পারেন।



ডাক্তারের ফি
১ম বন্ধু : ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলি?
২য় বন্ধু : গিয়েছিলাম।
১ম বন্ধু :তোর বুকে যা ছিলো খুঁজে পেয়েছেন?
২য় বন্ধু : প্রায় সবটাই।
১ম বন্ধু : মানে?
২য় বন্ধু : মানে আমার বুকপকেটে ছিল ১০১ টাকা।

-----------------------------------------------------------------------------------------

ডাক্তারের সাজেশন
: ডাক্তার সাহেব, আমার ছেলে আমার কলম গিলে ফেলেছে তাড়াতাড়ি আসুন |
: আপাতত পেন্সিল দিয়ে কাজ চালিয়ে নিন | আমি আসছি |

----------------------------------------------------------------------------------------

ডাক্তারী পরার্মশ
এক বিগত যৌবনা চিত্রভিনেত্রী তার ডাক্তারের কাছে এসে জানালেন, আজকাল অল্পতেই তিনি হাপিয়ে ওঠেন , কিছুতেই তার ভালো লাগে না । পরীক্ষা করে ডাক্তার জানালেন শরীরে আপনার ভালোই আছে । তেমন কোনো রোগ নেই । আসলে আপনার দরকার হচ্ছে চেঞ্জ এর

চেঞ্জ - অভিনেত্রী বললেন কত আর চেঞ্জ করবো ? জানেন গত দু বছর আমি দুটি স্বামী , তিনটে বাড়ি , চারটে চাকর , পাচটা রাধুনী চেঞ্চ করেছি । এটা কোন ডাক্তারী পরার্মশ হল।

---------------------------------------------------------------------------------------

আমার মন নোঙরা?'
মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট টেস্ট নিচ্ছেন মনোচিকিৎসক। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগীকে দেখানো হয় এ টেস্টে।

প্রথম কার্ডটা এগিয়ে দিলেন তিনি। 'বলুন তো এটা কিসের ছবি?'

'একটা ছেলে একটা মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে।'

দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। 'এটা কিসের ছবি বলুন তো?'

'ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামাকাপড় খুলে ফেলছে, আর মেয়েটা চেঁচাচ্ছে হাঁ করে।'

আরেকটা ছবি এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। 'এটা কিসের ছবি বলুন তো?'

'ছেলেটা মেয়েটার চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে, আর মেয়েটা খিখি করে হাসছে।'

ডাক্তার আর পারলেন না। 'দেখুন, রিয়াদ সাহেব, আপনার রোগ খুব জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আপনার মনটা খুবই নোঙরা, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।'

রিয়াদ সাহেব চটে আগুন। 'নিজে যত রাজ্যের নোঙরা ছবি এগিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, আর বলছেন আমার মন নোঙরা?'


--------------------------------------------------------------------------------------

অদ্ভুদ রোগ
দিন এক রোগী ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল, “ডাক্তার সাব, আমার একটা অদ্ভুদ রোগ হয়েছে।”
ডাক্তার বললেন, “কি রকমভ”
রোগী বলল, “আমি অল্পতেই রেগে যাই। গালাগালি করি”
ডাক্তার বলল, “ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো।”
রোগী বলল, “হারামজাদা, কয়বার খুলে বলব!!!”

---------------------------------------------------------------------





১। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ছাত্রদের অন্যতম ছিলেন কথাশিল্পী প্রমথনাথ বিশী। তো, একবার প্রমথনাথ বিশী কবিগুরুর সঙ্গে শান্তিনিকেতনের আশ্রমের একটি ইঁদারার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওখানে একটি গাবগাছ লাগানো ছিল। কবিগুরু হঠাৎ প্রমথনাথকে উদ্দেশ করে বলে উঠলেন, ‘জানিস, একসময়ে এই গাছের চারাটিকে আমি খুব যত্নসহকারে লাগিয়েছিলাম? আমার ধারণা ছিল, এটা অশোকগাছ; কিন্তু যখন গাছটি বড় হলো দেখি, ওটা অশোক নয়, গাবগাছ।’
অতঃপর কবিগুরু প্রমথনাথের দিকে সরাসরি তাকিয়ে স্মিতহাস্যে যোগ করলেন, ‘তোকেও অশোকগাছ বলে লাগিয়েছি, বোধকরি তুইও গাবগাছ হবি।’

২। একবার রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি একসঙ্গে বসে সকালের নাশতা করছিলেন। তো গান্ধীজি লুচি পছন্দ করতেন না, তাই তাঁকে ওটসের পরিজ (Porridge of Oats) খেতে দেওয়া হয়েছিল; আর রবীন্দ্রনাথ খাচ্ছিলেন গরম গরম লুচি।
গান্ধীজি তাই না দেখে বলে উঠলেন, ‘গুরুদেব, তুমি জানো না যে তুমি বিষ খাচ্ছ।’ উত্তরে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘বিষই হবে; তবে এর অ্যাকশন খুব ধীরে। কারণ, আমি বিগত ষাট বছর যাবৎ এই বিষ খাচ্ছি।’

৩। রবীন্দ্রনাথের একটা অভ্যাস ছিল, যখনই তিনি কোনো নাটক বা উপন্যাস লিখতেন, সেটা প্রথম দফা শান্তিনিকেতনে গুণীজন সমাবেশে পড়ে শোনাতেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রায়ই এরূপ পাঠের আসরে যোগদান করতেন। তা, একবার আসরে যোগদানকালে বাইরে জুতা রেখে আসায় সেটা চুরি গেলে অতঃপর তিনি জুতা জোড়া কাগজে মুড়ে বগলদাবা করে আসরে আসতে শুরু করে দিলেন।
রবীন্দ্রনাথ এটা টের পেয়ে গেলেন। তাই একদিন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে এভাবে আসরে প্রবেশ করতে দেখে তিনি বলে উঠলেন, ‘শরৎ, তোমার বগলে ওটা কী পাদুকা-পুরাণ?’ এ নিয়ে সেদিন প্রচণ্ড হাসাহাসি হয়েছিল।

৪। একবার এক দোলপূর্ণিমার দিনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাক্ষাৎ ঘটে। তো, পরস্পর নমস্কার বিনিময়ের পর হঠাৎ দ্বিজেন্দ্রলাল তাঁর জামার পকেট থেকে আবির বের করে রবীন্দ্রনাথকে বেশ রঞ্জিত করে দিলেন।
আবির দ্বারা রঞ্জিত রবীন্দ্রনাথ রাগ না করে বরং সহাস্যে বলে উঠলেন, ‘এত দিন জানতাম দ্বিজেন বাবু হাসির গান ও নাটক লিখে সকলের মনোরঞ্জন করে থাকেন। আজ দেখছি শুধু মনোরঞ্জন নয়, দেহরঞ্জনেও তিনি একজন ওস্তাদ।’

৫। মরিস সাহেব ছিলেন শান্তিনিকেতনে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অধ্যাপক। একা থাকলে তিনি প্রায়ই গুনগুন করে গান গাইতেন। তো, একদিন তিনি তৎকালীন ছাত্র প্রমথনাথ বিশীকে বললেন, ‘গুরুদেব চিনির ওপর একটি গান লিখেছেন, গানটি বড়ই মিষ্টি।’ অতঃপর তিনি গানটি গাইতে লাগলেন, ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী, তুমি থাকো সিন্ধুপারে…।’
‘তা চিনির গান তো মিষ্টি হবেই। কিন্তু এই ব্যাখ্যা আপনি কোথায় পেলেন?’ প্রমথনাথ বিস্মিত হয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলেন।
উত্তরে মরিস সাহেব জানালেন, ‘কেন, স্বয়ং গুরুদেবই আমাকে বলে দিয়েছেন।’

৬। কবিগুরুর ৫০ বছর বয়সে পদার্পণ উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের একটি কক্ষে সভা বসেছিল, যেখানে তিনি স্বকণ্ঠে গান করছিলেন। তো, তিনি গাইলেন, ‘এখনো তারে চোখে দেখিনি, শুধু কাশি শুনেছি।’ কবিগুরু এটা গেয়েছিলেন আচার্য যতীন্দ্রমোহন বাগচি উক্ত কক্ষে প্রবেশের পূর্বক্ষণে, তাই বাগচি মহাশয় কক্ষে প্রবেশ করে বিস্ময়-বস্ফািরিত নয়নে সকলের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
‘সিঁড়িতে তোমার কাশির শব্দ শুনেই গুরুদেব তোমাকে চিনেছেন’, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তখন বাগচি মহাশয়কে বুঝিয়ে দিলেন, ‘তাই তো তাঁর গানের কলিতে বাঁশির স্থলে কাশি বসিয়ে তাঁর গানটি গেয়েছেন।’

৭। সাহিত্যিক ‘বনফুল’ তথা শ্রীবলাইচাঁদ ব্যানার্জির এক ছোট ভাই বিশ্বভারতীতে অধ্যয়নের জন্য শান্তিনিকেতনে পৌঁছেই কার কাছ থেকে যেন জানলেন, রবীন্দ্রনাথ কানে একটু কম শোনেন। অতএব রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে গেলে রবীন্দ্রনাথ যখন বললেন, ‘কী হে, তুমি কি বলাইয়ের ভাই কানাই নাকি’, তখন বলাইবাবুর ভাই চেঁচিয়ে জবাব দিলেন, ‘আজ্ঞে না, আমি অরবিন্দ।’
রবীন্দ্রনাথ তখন হেসে উঠে বললেন, ‘না কানাই নয়, এ যে দেখছি একেবারে শানাই।’

৮। একবার কালিদাস নাগ ও তাঁর স্ত্রী জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। রবীন্দ্রনাথ মৃদুহাস্যে নাগ-দম্পতিকে প্রশ্ন করলেন, ‘শিশু নাগদের (সাপের বাচ্চাদের) কোথায় রেখে এলে?’ আরেকবার রবীন্দ্রনাথ তাঁর চাকর বনমালীকে তাড়াতাড়ি চা করে আনতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তার আসতে দেরি হচ্ছে দেখে কপট বিরক্তির ভাব দেখিয়ে বললেন, ‘চা-কর বটে, কিন্তু সু-কর নয়।’
আরও একবার কবিগুরুর দুই নাতনি এসেছেন শান্তিনিকেতনে, কলকাতা থেকে। একদিন সেই নাতনি দুজন কবিগুরুর পা টিপছিলেন; অমনি তিনি বলে উঠলেন, ‘পাণিপীড়ন, না পা-নিপীড়ন?’ প্রথমটায় তারা কিছুই বুঝতে না পারলেও পরে কথাটার অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পেরে খুবই মজা পেয়েছিলেন।



বেড়াতে বেরিয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র একবার গোপালের হাত চেপে ধরে আস্তে আস্তে মোচড়াতে লাগলেন।
গোপাল: আমার হাত নির্দোষ, ওকে রেহাই দিন।
রাজা: জোর করে ছাড়িয়ে নাও।
গোপাল: সেটা বেয়াদবি হবে।
রাজা: উহু, তাহলে হাত ছাড়ব না।
গোপাল তখন যে রোগের যে দাওয়াই বলে রাম নাম জপতে থাকলেন।
রাজা: এতে কি আর কাজ হবে? দাওয়াই কোথায়?
গোপাল: রাম নাম জপাই তো মোক্ষম দাওয়াই।
রাজা: মানে?
গোপাল: পিতামহ, প্রপিতামহের আমল থেকে শুনে আসছি, রাম নাম জপলে ভূত ছাড়ে।
রাজা গোপালের হাত ছেড়ে দিলেন সঙ্গে সঙ্গে।
---------------------------------------------------------------------

গোপাল যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। মাথার ওপর গনগনে সূর্য। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গোপাল এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে বসল। বেশি গরম লাগায় ফতুয়াটা খুলে পাশে রেখে একটু আয়েশ করে বসল। বসে বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল, নিজেই জানে না।

ঘুম যখন ভাঙল গোপাল দেখে, তার ফতুয়াটা চুরি হয়ে গেছে। হায় হায়! এখন কী হবে! খালি গায়ে তো আর শ্বশুরবাড়ি ওঠা যায় না। কী আর করা। সে হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বলতে লাগল, ‘হে ভগবান, রাস্তায় অন্তত ১০টি মুদ্রা যেন কুড়িয়ে পাই, তাহলে পাঁচ মুদ্রায় আমার জন্য একটা ভালো ফতুয়া কিনতে পারি। আর তোমার জন্য পাঁচটি মুদ্রা মন্দিরে দান করতে পারি···।’ আর কী আশ্চর্য! ভাবতে ভাবতেই দেখে, রাস্তার ধারে কয়েকটি মুদ্রা পড়ে আছে। খুশি হয়ে উঠল গোপাল, গুনে দেখে পাঁচটি মুদ্রা! গোপাল স্বগত বলে উঠল, ‘হে ভগবান, আমাকে তোমার বিশ্বাস হলো না, নিজের ভাগটা আগেই রেখে দিলে?
------------------------------------------------------------------------

গোপাল একবার তার দুই বেয়াই-এর সাথে এক জায়গায় যাচ্ছিল। পথের ধারে দক্ষিণমুখো হয়ে সে প্রস্রাব করতে বসলে এক বেয়াই বলল, “আরে করেন কি, আপনি জানেন না, দিনের বেলা দক্ষিণমুখো হয়ে প্রস্রাব করতে নেই, শাস্ত্রে নিষেধ আছে যে!”
অপর বেয়াই বলল, “শুনেছি উত্তরমুখো হয়েও নাকি ওই কাজটি করতে নেই।”

গোপাল বলল, “ওসব পন্ডিতলোকদের বচন, আমি গাঁইয়া মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, ওসব বাছবিছার আমি করি না, সব মুখেই প্রস্রাব করি। বড় বেয়াই যে মুখে বললেন সে মুখে করি আর ছোট বেয়াই যে মুখে বললেন সে মুখেও করি।”
গোপালের মুখের কথা শুনে বেয়াইদের মুখে আর কথা নেই।
---------------------------------------------------------------------

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সব সভাসদদের সামনে গোপালকে জব্দ করার উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘বুঝলে গোপাল, আমার সাথে তোমার চেহারার কিন্তু দারুণ মিল! তা বাবার শাসনামলে তোমার মা কি এদিকে আসতেন-টাসতেন নাকি?’

গদগদ হয়ে গোপাল বলে, ‘আজ্ঞে না রাজামশাই! তবে মা না এলেও বাবা কিন্তু প্রায়শই আসতেন!’
---------------------------------------------------------------------

গোপাল একবার গ্রামের মোড়ল হয়েছিল। তো একদিন ভোরবেলায় এক লোক এসে ডাকতে লাগল, ‘গোপাল? গোপাল?’ গোপাল ভাঁড় কোনো উত্তর না দিয়ে শুয়েই রইল। এবার লোকটা চিৎকার করে ডাকতে লাগল, ‘মোড়ল সাহেব, মোড়ল সাহেব।’ এবারও গোপাল কোনো কথা না বলে মটকা মেরে শুয়ে রইল। গোপালের বউ ছুটে এসে বলল, ‘কী ব্যাপার, লোকটা মোড়ল সাহেব মোড়ল সাহেব বলে চেঁচিয়ে পড়া মাত করছে, তুমি কিছুই বলছ না!’ গোপাল কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, ‘আহা, ডাকুক না কিছুক্ষণ, পাড়ার লোকজন জানুক আমি মোড়ল হয়েছি।’
----------------------------------------------------------------------

একজন বৈরাগী গোপালকে চিনত না। সে গোপালের সামনে এসে বলল, “ঈশ্বরের সেবার জন্য আপনি কিছু চাঁদা দেবেন?”
গোপাল কিছু না বলে বৈরাগীকে একটা টাকা দিল।
টাকাটা পেয়ে বৈরাগী খুশি হয়ে পথ হাঁটতে লাগল। কিছুটা যেতেই গোপাল তাকে ডাকল, “ও বৈরাগী, একবারটি আমার কাছে এসো।”
বৈরাগী খুশিমনে তার কাছে আসলে গোপাল বলল, “তোমার বয়স কত?”
“আঠারো আজ্ঞে।”
“আমার বয়স পঞ্চান্ন।”
“তাতে কি হল?”
“এইমাত্র ঈশ্বরের সেবার জন্য যে একটা টাকা নিয়েছ সেটা ফেরত দাও, কারণ তোমার আগেই আমি স্বর্গে যাব এবং ঈশ্বরের সেবার সুবর্ণ সুযোগ পাব।”






প্রেমিকা: আচ্ছা, তুমি যে আমাকে এত ভালোবাস , আমি তোমার ভালবাসায় সত্যিই অভিভূত । কিন্ত আমার ভয় হয় আমাদের বিয়ের পরে এই ভালবাসা বজায় থাকবে তো ?

প্রেমিক: আরে কি যে বলো ,ভালবাসা কি এতই ঠুনকো । তবে, বিয়ের পরে তোমার সাথে ভালবাসাবাসি করতে হলে তোমার স্বামীর অনুমতি লাগবে - বুঝলে ?

প্রেমিকা: ও তাহলে তুমি শুধু প্রেম করবে । আর বিয়ে করবে অন্য কেউ ?

প্রেমিক: একেবারে ঠিক বলেছো । কারন প্রেম আর বিয়ে কখনো একসাথে চলতে পারে না ।





বিয়ের পরে সাহেদ ও শায়লার দিন ভালই কাটচিল । কিন্ত সাহেদ কিছুতেই তার পুরানো বান্ধবী রুমাকে ভুলতে পারেনি । সময় ও সুযোগ পেলেই সে গোপনে ছুটে যায় রুমার কাছে । রুমার জন্মদিনে সাহেদ বেশ দামী একটা লাল বেনারসী শাড়ি গিফট করে । মাস খানেক পরে ঠিক ঐ লাল বেনারসী শাড়িটা তার বউ শায়লার পরনে দেখে সাহেদ অবাক হয়। কিন্ত সাহস করে এ ব্যাপারে সে শায়লাকে কিছুই না বলে সাহেদ সরাসরি রুমার কাছে যেয়ে জানতে চায় -

- রুমা, তোমাকে যে শাড়িটি গিফট করেছিলাম সে শাড়িটি কোথায় ?
- শাড়িটি তো সুমন ভাই নিয়ে গেছে ।
- ও তুমি তাহলে সুমন ভাইয়ের সাথেও ইয়ে করো নাকি ?

- তুমি কি ভেবেছো শুধু তোমার সাথেই আমি ইয়ে করবো ?

- না,ঠিক আছে । তা সুমনভাই শাড়িটা কি করেছে জানো ?

- শুনেছি,শায়লা নামে তার এক বান্ধবীকে গিফট করেছে ।



প্রেমিকা : জানু ,আজ তো ভেলেন্টাইন্স ডে, আমাকে এমন ভাবে Propose করো যেভাবে আজ পর্যন্ত কোন ছেলে কোন মেয়ে কে করেনি . . . . ... . . .
প্রেমিক : হারামজাদি, কুত্তি , কলংকিনি, শয়তানের শয়তান আই লাভ ইউ চো মাচ আমাকে বিয়ে করে আমার জীবন ধ্বংশ করে দে ডাইনি...!!

একদেশে ছিল এক রাজকন্যা। তার যেমন ছিল রুপ তেমন ছিল গুন। কিন্তু হঠাত রাজকন্যা এক কঠিন অসুখে পড়লো । সে যা কিছু হাত দিয়ে সর্প্শ করে সব গলে বাষ্প হয়ে যায়। রাজা পড়লেন মহা চিন্তায়, কারন রাজকন্যা, লোহা, স্বর্ন,কাঁচ,হিবক এমনকি ইস্পাত যা-ই ধরে সব বাষ্প হয়ে যায় । রাজা রাজ্যের সকল বড় বড় চিকিতসকদের ডাকলেন তারা নানা ধরনের চিকিতসা দিতে লাগলেন ।কিন্তু কোন কিছুতে কোন ফল হল না। সকল চিকিতসক মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন রাজকন্যাকে দিয়ে যদি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন বস্তু সর্প্শ করানো যায় তাহলে তিনি স্বাভাবিকহয়ে যাবেন। এমন সময় একবৃদ্ধ ট্রেতে করে লাল একটা হৃতপিন্ড নিয়ে হাজির হলেন -এবং বললেন এটাই বিশ্বের কঠিনতম বস্তু। রাজকন্যা এই হৃতপিন্ডটা সর্ষ্শ করলেই ভালো হয়ে যাবেন। উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো । রাজা বললেন তোমরা হাসছো কেন? দেখুক না একবার চেষ্টা করে। রাজকন্যাকে আনা হলো। রাজকন্যা হাতদিয়ে হৃতপিন্ডটা সর্স্শ করার সাথে সাথে হৃতপিন্ডতো গললোই না-বরং রাজকন্যা দুরে ছিটকে পড়লেন এবং সাথে সাথে রাজকন্যা স্বাভাবিক হয়ে গেলেন। এবার সবাই মিলে এই হৃতপিন্ডের রহস্য জানতে চাইলে বৃদ্ধ লোকটি বললেন:

এই হৃতপিন্ডটা একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তেরী করা হয়েছে । এর ভিতরে যে বিশেষ উপাদান গুলো আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো - ঐসব মানুষের হৃতপিন্ডের টিস্যু যাদের হৃদয় সাধারন মানুষের দু:খ,দুর্দশা,কস্ট ও ভোগান্তিতে গলে না। আর ঐ সব মানুষগুলো হলো বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবসায়ী এবং সিএনজি অটো রিকসা চালক।

এক লোক সুইস ব্যাঙ্কে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার জমা দেয়|

ম্যানেজারের একদিন সন্দেহ হল, ভদ্রলোককে ডেকে পাঠালেন…

ম্যানেজার – আপনি প্রতিদিন এত টাকা জমা করেন, আপনার আয়ের উতস কী?

লোকটি – ভাই আমি একজন জুয়াড়ী, আমি বাজী ধরে টাকা রোজগার করি …

ম্যানেজার – কী বলেন! বাজী ধরে এত টাকা… এ অসম্ভব! নিশ্চই আপনার কোনো দুই নম্বরী ব্যবসা আছে…

লোকটি – নারে ভাই আমি সত্য বলছি। আচ্ছা চলেন আপনার সাথেই একটা বাজী হয়ে যাক…

ম্যানেজার – কী বাজী…??!!!

লোকটি – এক সপ্তাহ পরে আমি যখন আসব তখন আপনার একটা বিচী থাকবে আরেকটা নাই, ১০,০০০ ডলার বাজী…

ম্যানেজার একটু ভয় পেলো, কী জানি জুয়াড়ী মানুষ, রাস্তায় বের হলে যদি বিচী কেটে নেয়… তারপর কী একটু ভেবে সে রাজী হল… লোকটি চলে যাবার পর ম্যানেজার তার সিকিউরিটি ডাবল করল, বাসায় ফোন করে বলল এক সপ্তাহের জন্য বাইরে যাচ্ছে, বাসায় ফিরবে না… এক সপ্তাহ সে ব্যাঙ্কেই কাটিয়ে দিলো…

এক সপ্তাহ পর …

সেই লোকটি এল সাথে এক চীনা ভদ্রলোক, ম্যানেজার পকেটে হাত ঢুকিয়ে একবার দেখে নিলো… নাহ ঠিক আছে…

লোকটি বলল – সব ঠিক আছে?

ম্যানেজার – হ্যা দুইটাই তো আছে…

লোকটি – আচ্ছা (চীনা লোককে দেখিয়ে) ইনি পরীক্ষা করে দেখবেন… আপনারা দুজন বাথরুমে যান…

বাথরুমে গিয়ে চীনা লোক ম্যানেজারের বিচী ধরে পরীক্ষা করে ফিরে এসে জানালো দুইটা বিচী আছে…

তো সেই লোক মানেজারকে ১০,০০০ ডলার দিয়ে বিদায় হল।

আধা ঘন্টা পর সেই লোক ১০,০০০ ডলার জমা দিতে এলো…!!

ম্যানেজার তাকে ডেকে বললেন – কী ব্যপার, আপনি না এই মাত্র আমার কাছে বাজীতে হারলেন…?!!

লোকটি – হুম তা ঠিক আছে, কিন্তু আমি ঐ চীনা ভদ্রলোকের সাথে বাজী ধরেছিলাম যে সুইস ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের বিচী হাতানোর ব্যবস্থা করে দিব ২০,০০০ ডলারে …!!

একবার এনজেলিনা জোলি আপা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল । তথন রাস্তার পোলাপান চিল্লাইতে লাগল
- যদি এই ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানো থাকত তাইলে আরো চরম লাগত ।

তথন এনজেলিনা জোলি আপা বললেন-
......
.
.
.
.
.
.
.
.
তাইলে প্রত্যেকদিন কোনো না কোনো ছেলের স্টিকে লিপস্টিক লাগানো থাকত

আবুলদের বাসায় গরুর খামার আছে। অনেক গরু।
প্রতিদিন সকালে গরুর দুধ দুইতে দুইতে ওর বাবার
হাত ব্যথা হয়ে যায়। আবুলের বাবা বাজার
থেকে একদিন একটা মেশিন নিয়ে আসলো।
ওইটা গাভীর স্তনে লাগিয়ে বোতাম চাপলে অটো দুধ
বের হতে থাকে।
আবুল তখন কিছুটা বড় হয়েছে। তো ওর মাথায়
একটাদুষ্টু বুদ্ধি আসলো। কেমন আরাম লাগে দেখার
জন্য সে দুধ দোওয়ার মেশিনটা তার জায়গামত
লাগিয়ে সে আরামে উপভোগ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ
পর আবুলের মালপানি বের হয়ে গেলো। কিন্তু মেশিন
তো থামে না। সে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেশিনের
আর কোনো বোতাম পায়না। ইতিমধ্যে তার
আরো একবার বের হয়ে গেলো। কিন্তু মেশিন
থামে না। চলছেই। আবুল দেখে যে মাত্র একটাই
বোতাম মেশিনে, বার বার সে ওইটাই চেপে চলে কিন্তু
মেশিন থামে না। ইতিমধ্যে আর একবার বের
হয়ে গেলো। আবুল পাগল হয়ে গিয়ে ক্যাটালগ
খুজে দেখে সেখানে লিখা...... ......
"This machine will stop
automatica lly after minimum one
liter discharge.

About this blog

hit counter

Sample text

ফেসবুকে আমাকে ফলো করুন

ভিজিটর কাউন্ট

Resources

মোট পোস্ট হল

জনপ্রিয় পোস্ট গুলি

আজকের তারিখ হচ্ছে

Powered by Blogger.

Ads 468x60px

Social Icons

সমস্ত পোস্ট গুলি এখানে

Featured Posts