শূণ্য পেয়ালা পূর্ণ কর সাকি;
আকন্ঠ পিপাসার কারাগার ভেঙে
বিছিয়ে দাও সেথা অঞ্চলস্থিত মদিরাম্বু।
মেঘেমেঘে ঢেকে যাক বেনিয়া রোদ্দুর
কোনে কোনে বিম্বিত আভা
চূর্ণ-বিচূর্ণ করুক আত্নার সজীবতা।

চৈতি মেঘের বালিয়াড়ি উড়াও
দুঃসহ যাতনার অভ্রচূর্ণ নত হোক ভূমে
পাতার বাঁশি না ই বাজালো শিশু –
মেলা ভাঙলো শিখন্ডী ধুলোর জালে
প্রাণ নিয়ে কাড়াকড়ি, সব সাধ ভুলে
সবাই ছুটে নিরাপত্তার আড়াল খুঁজে।

যখন সময় হবে সূর্যও সূলভ হবে
থামবে ঝড় - চেতনা ও ভূমে
 ধূলো মুছে সবাই ভাবতে বসবে
কেন এমন হলো, পাতার বাঁশি
শিশুর ঠোঁট থেকে কেড়ে না নিলে
কী এমন ক্ষতি হতো কার?

শান্তনার বাতাস আশ্বাসের ফূঁ দেয়;
সময় তা শুধরে নেবে
 কেবল মা ই জানে - তা কখনো নয়

অতঃপর
পূর্বাপর বিক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসা
ঠাঁই পাবে তে-মাথার
চা-দোকানের সরব আড্ডায়
 কিন্তু বাঁশি বাজানো পেলব ঠোঁট দুটি
কাঁপবে না আর।

আর বছরে আবারো তো উঠবে ভরে মেলা প্রাঙ্গন
ধূলায় মোড়া সরব কোলাহলে
পতার বাঁশি ঝুনঝুনি গয়না পুতুল মিঠাই ফেরী
স-ব ঠিক আগেকারই মতোন
থাকবে সবাই রত জীবনের সরস কাব্য রচনায়
 শুধু ঠোঁট দু'খানা খেলবেনা তো আর